ঘরে ঘরে এখন ক্যানসার আক্রান্তের খোঁজ মিলছে। শরীরে বিভিন্ন অংশে বাসা বাঁধতে পারে এই মারণরোগ। বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের লক্ষণগুলিও আলাদা। শরীরের আর পাঁচটা অঙ্গের মতো চোখেও বাসা বাঁধতে পারে ক্যানসার। আর চোখের ক্যানসারের সবচেয়ে বিপজ্জনক ও বিরল রূপ হল ‘রেটিনোব্লাস্টোমা’। পাঁচ বছরের নীচে শিশুরাই এতে আক্রান্ত হয়। চোখ যেহেতু শরীরের সবচেয়ে স্পর্শকাতর অঙ্গ, তাই সেখানে টিউমার হওয়া মানে যন্ত্রণা যেমন বাড়ে, তেমনই এর অস্ত্রোপচার খুবই জটিল এবং ঝুঁকিপূর্ণ। এই ক্যানসারের কোষ প্রথমে রেটিনাতেই বৃদ্ধি পেতে থাকে। তার পর সেখান থেকে গোটা চোখে ছড়িয়ে পড়ে।
রেটিনোব্লাস্টোমা কী কারণে হয়, তা এখনও সম্পূর্ণ ভাবে জানা যায়নি। জিনগত কারণে এই রোগ হয় বলেই দাবি করা হয়েছে। এই রোগটির বিষয়ে দেশের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেল্থের জার্নালে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছিল ২০২৩ সালে। গবেষকেরা বলেছিলেন, রোগটি খুবই বিরল। ১৫ থেকে ১৮ হাজার শিশুর মধ্যে হয়তো এক জন এই ধরনের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়। বংশগত কারণেও হতে পারে এই রোগ। পরিবারে কারও এই রোগ থাকলে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা ৫০ শতাংশ বেশি।
‘ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস’-এর তরফে এই ক্যানসারে আরও বেশ কিছু লক্ষণ প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। মণির রং বদলে যাওয়া, চোখের চারপাশ ফুলে যাওয়া, চোখের মধ্যে একটানা অস্বস্তি, চোখে ব্যথা— এই লক্ষণগুলি দেখা দিলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। এ ছাড়া রেটিনায় টিউমার হয়। ফলে দৃষ্টিশক্তি ধীরে ধীরে ঝাপসা হতে শুরু করে। চোখ লাল হয়ে ওঠে, চোখ দিয়ে অনবরত জল পড়তে থাকে, এই সব লক্ষণ দেখলেও সতর্ক হন।
এই ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি যেহেতু শিশুদের বেশি, ফলে অভিভাবকদের সতর্ক থাকার কথা বলেন চিকিৎসকেরা। চোখে কোনও সমস্যা হলেও তা সব সময়ে বুঝতে পারে না শিশুরা। তাই চোখ লাল হয়ে যাওয়া কিংবা চোখে ব্যথার মতো কোনও সমস্যা যদি শিশুদের হয়, তা হলে তা অবহেলা করা ঠিক হবে না।
এই রোগের নিরাময় কী ভাবে সম্ভব?
প্রাথমিক অবস্থায় যদি ‘রেটিনোব্লাস্টোমা’ ধরা পড়ে, তা হলে এর পুরোপুরি নিরাময় করা সম্ভব। সময় মতো চিকিৎসা না করা হলে এই ক্যানসার মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে। সাধারণত লেজার বা কেমোথেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়। এ ছাড়া, অস্ত্রোপচারও করা হয়। ঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে দৃষ্টিশক্তি চলে যেতে পারে।
রেটিনোব্লাস্টোমা কী কারণে হয়, তা এখনও সম্পূর্ণ ভাবে জানা যায়নি। জিনগত কারণে এই রোগ হয় বলেই দাবি করা হয়েছে। এই রোগটির বিষয়ে দেশের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেল্থের জার্নালে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছিল ২০২৩ সালে। গবেষকেরা বলেছিলেন, রোগটি খুবই বিরল। ১৫ থেকে ১৮ হাজার শিশুর মধ্যে হয়তো এক জন এই ধরনের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়। বংশগত কারণেও হতে পারে এই রোগ। পরিবারে কারও এই রোগ থাকলে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা ৫০ শতাংশ বেশি।
‘ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস’-এর তরফে এই ক্যানসারে আরও বেশ কিছু লক্ষণ প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। মণির রং বদলে যাওয়া, চোখের চারপাশ ফুলে যাওয়া, চোখের মধ্যে একটানা অস্বস্তি, চোখে ব্যথা— এই লক্ষণগুলি দেখা দিলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। এ ছাড়া রেটিনায় টিউমার হয়। ফলে দৃষ্টিশক্তি ধীরে ধীরে ঝাপসা হতে শুরু করে। চোখ লাল হয়ে ওঠে, চোখ দিয়ে অনবরত জল পড়তে থাকে, এই সব লক্ষণ দেখলেও সতর্ক হন।
এই ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি যেহেতু শিশুদের বেশি, ফলে অভিভাবকদের সতর্ক থাকার কথা বলেন চিকিৎসকেরা। চোখে কোনও সমস্যা হলেও তা সব সময়ে বুঝতে পারে না শিশুরা। তাই চোখ লাল হয়ে যাওয়া কিংবা চোখে ব্যথার মতো কোনও সমস্যা যদি শিশুদের হয়, তা হলে তা অবহেলা করা ঠিক হবে না।
এই রোগের নিরাময় কী ভাবে সম্ভব?
প্রাথমিক অবস্থায় যদি ‘রেটিনোব্লাস্টোমা’ ধরা পড়ে, তা হলে এর পুরোপুরি নিরাময় করা সম্ভব। সময় মতো চিকিৎসা না করা হলে এই ক্যানসার মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে। সাধারণত লেজার বা কেমোথেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়। এ ছাড়া, অস্ত্রোপচারও করা হয়। ঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে দৃষ্টিশক্তি চলে যেতে পারে।